বাইক তুলনামূলকভাবে পরিবেশবান্ধব বাহন, বিশেষত যখন এটি সঠিকভাবে ব্যবহার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। নিম্নলিখিত কারণগুলো বাইককে পরিবেশবান্ধব হিসেবে চিহ্নিত করে—
* কম জ্বালানি খরচ ও কম দূষণ
বাইক সাধারণত কম পরিমাণে জ্বালানি ব্যবহার করে, ফলে এটি কম কার্বন নিঃসরণ ঘটায়। গাড়ির তুলনায় মোটরসাইকেল কম ধোঁয়া ও ক্ষতিকারক গ্যাস উৎপন্ন করে, যা বায়ু দূষণ হ্রাসে সাহায্য করে।
* ইলেকট্রিক বাইকের ব্যবহার
ইলেকট্রিক বাইক সম্পূর্ণ ব্যাটারিচালিত হওয়ায় এটি কোনো প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ায় না, ফলে এটি একেবারেই কার্বন নিঃসরণ করে না।
* হালকা ওজন ও কম উপাদান ব্যবহৃত হয়
একটি বাইক তৈরিতে কম ধাতু ও উপাদান ব্যবহৃত হয়, যা পরিবেশগত সম্পদের অপচয় রোধ করে।
* শব্দ দূষণ কমায়
বিশেষ করে ইলেকট্রিক বাইক অত্যন্ত নীরবভাবে চলে, যা শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে শব্দ দূষণ হ্রাসে সহায়ক।
* কম পার্কিং স্পেস প্রয়োজন
বাইক কম জায়গা দখল করে, ফলে শহরের ট্রাফিক ও যানজট কমাতে ভূমিকা রাখে, যা জ্বালানি অপচয় কমায়।
* টেকসই ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য উপাদান ব্যবহৃত হচ্ছে
বিভিন্ন নির্মাতা এখন পরিবেশবান্ধব উপাদান ব্যবহার করে বাইক তৈরি করছে, যা সহজে পুনর্ব্যবহারযোগ্য এবং টেকসই।
#যদিও তেলচালিত বাইক কিছু মাত্রায় দূষণ ঘটায়, তবে এটি গাড়ির তুলনায় অনেক বেশি পরিবেশবান্ধব। বিশেষ করে ইলেকট্রিক বাইকের প্রসার ঘটলে এটি আরও বেশি পরিবেশবান্ধব বাহন হিসেবে জনপ্রিয়তা পাবে।
Comments
Post a Comment